আলমগীর কবীর:
গাজীপুরের কাপাসিয়া-শ্রীপুর সড়কের নারায়ণপুর বাজার ও শীতলক্ষ্যা নদী ঘেষে রাস্তার প্রায় ৯ ফুট দেবে গেছে।শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) ভোরের দিকে এ ভূমি ধসের ঘটনা ঘটে যার ফলে দুই উপজেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
প্রথমবার ১৯৬৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে,দ্বিতীয়বার ২০০৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে,৩য়বার ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে এবং সর্বশেষ গতকাল শুক্রবার এ ভূমি ধসের ঘটনায় রাস্তার আশপাশের সন্তোষ মাস্টার, রতন চন্দ্র,ননী গোপাল, সাধন চন্দ্র দাস মাস্টার,সুশীল চন্দ্র, নিতাই চন্দ্রসহ ১০ পরিবারের লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।তারা আরও বলেন,সড়ক ও জনপথ বিভাগ,গাজীপুর অল্প কিছুদিন আগে এই রাস্তার কাজ করেছিল।
কাজ চলাকালিন সময়ে আমরা জিজ্ঞাসা করেছিলাম,কি কারনে এমন ঘটনা বারবার ঘটছে ? প্রশ্নের উত্তরে সড়ক ওজনপথের লোকজন বলেছিল, আমরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করছি,আগামীতে এমন ঘটনা হয়ত আর ঘটবে না ।
এরপর ঐ স্থানে ২০১৮ সালে গাজীপুরের সওজের কর্মকর্তারা ওই রাস্তাটি পর্যবেক্ষণের কাজ চলমান মর্মে একটি সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেন। সড়ক ও জনপদের কর্মকর্তারা একাধিকবার পরিদর্শন করে গেলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।স্থানীয় প্রভাবশালীরা শীতলক্ষ্যা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় এ ভূমি ধসের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলেও এলাকাবাসীর ধারণা।
কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আমানত হোসেন খান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসা. ইসমত আরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।স্থানীয় বাসিন্দারা ও অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক সাধন চন্দ্র দাস সাংবাদিকদের জানান,এ পর্যন্ত চার বার এই স্থানে ভূমি ধসের ঘটনা ঘটল।
কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আমানত হোসেন খান ও কাপাসিয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সাখাওয়াত হোসেন প্রধান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আমানত হোসেন খান বলেন,শীতকালে পাশের শীতলক্ষ্য নদীর পানি নেমে গেলেই এ ঘটনাটি ঘটে থাকে।তবে কোনো বারই ভরা নদীতে এ ঘটনা ঘটেনি।
গাজীপুরের সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: সাইফুদ্দীন জানান,গত বছরের ডিসেম্বরে ওই রাস্তার নির্মাণ কাজ শেষ হয়ার পর থেকে ৬ মাস আমরা পর্যবেক্ষণে রাখি।পরে সবই ঠিকঠাক মত ছিল।যানবাহন স্বাভাবিকভাবেই চলছিল।তবে বারবার একই এলাকায় কেন ? এ ধসের ঘটনা ঘটছে বুঝতে পারছি না ।
নির্বাহী প্রকৌশলী মো: সাইফুদ্দীন আরও জানান, ধসে পড়ার ওই ছবি বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠোনো হয়েছে।তারা এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মতামত দেবেন। তারপর বাকি ব্যবস্থা নেয়া হবে।প্রায় ৪০ ফুট দৈর্ঘ্য এবং৮ ফুটের মতো গভীর হয়ে ওই রাস্তাটি দেবে গেছে বলেও জানান তিনি।